দুদকের জালে এসআইয়ের কোটিপতি স্ত্রী !

চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলজার বেগম। তার আরেক পরিচয় তিনি সিআইডির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নওয়াব আলীর স্ত্রী। কিন্তু সব পরিচয় ছাপিয়ে তিনি একজন কোটিপতি। চট্টগ্রাম শহরে ফ্ল্যাট ও প্লটের মালিক তিনি। চড়েন ব্য’ক্তিগত গাড়িতে।

কিন্তু দুদক বলছে গোলজার বেগমের এতোসব অর্জন তার পু’লিশ স্বামীর অবৈ’ধ আয়ে। মঙ্গলবার (৯ মা’র্চ) গোলজার বেগমকে কা’রাগারে পাঠিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত। দু’র্নীতি দমন কমি’শনের (দুদক) করা মা’মলায় তাকে কা’রাগারে পা’ঠানো হয়।

বিষয়টি নি’শ্চিত করেন দুদকের আ’ইনজীবী মাহমুদুল হক। গোলজার বেগমের স্বামী মো. নওয়াব আলী বর্তমানে ঢাকায় সিআইডির এসআই পদে ক’র্মরত আছেন।

দুদকের তথ্য মতে বর্তমানে এই দম্পতির ১ কোটি ৩৮ লাখ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। তবে অধিকাংশ সম্পদের মালিক স্ত্রী গোলজার। যা জ্ঞাত আয়ের উৎসের স’ঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ।

এ ঘ’টনায় স’ম্প্রতি এসআই নওয়াব আলী, তার স্ত্রী গোলজার বেগম, কর অঞ্চল-১ চট্টগ্রামের অতিরি’ক্ত সহকারী কর কমি’শনার (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) বাহার উদ্দিন চৌধুরী ও কর পরিদর্শক দীপঙ্কর ঘোষকে আসামি করে আদালতে অ’ভিযোগপত্র দেয় দুদক।

দুদকের দেয়া অ’ভিযোগপত্র গ্রহণ করে এই চার আসামির বি’রুদ্ধে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতারি পরোয়ানা জা’রি করেন আদালত। আজ সেই মা’মলায় চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন গোলজার বেগম। তিনি আদালতে জা’মিনের আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে কা’রাগারে পা’ঠানো র আদেশ দেন।

আ’ইনজীবী মাহমুদুল হক বলেন, ‘গত ২৫ ফেব্রুয়ারি আদালত আসামিদের বি’রুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জা’রি করেন। কিন্তু আসামিরা পলাতক ছিলেন। আজ চার আসামির একজন গোলজার বেগম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জা’মিনের আবেদন করলে, আদালত তা নামঞ্জুর করেন।

দুদক সূত্র জা’নায়, নওয়াব আলীর গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদরের কেকানিয়া এলাকায়। ১৯৯২ সালে কনস্টেবল পদে যোগ দেন তিনি। সেখানে নিজে’র নামে ২০১৩ সালে ৬ দশমিক ৯০ শতাংশ জমির উপর একটি দোতলা বাড়ি নি’র্মাণ করেন।

আর স্ত্রী গোলজারের নামে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজে’লার ছলিমপুরে ৩৫৪ শতক জমি, চট্টগ্রাম শহরের লালখান বাজার এলাকায় পার্কিংসহ ১ হাজার ১০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট, একই এলাকায় ৪ শতক জমি রয়েছে।

এছাড়া গোলজারের নামে একটি মাইক্রোবাসও রয়েছে। নওয়াব আলী কৌশলে স্ত্রী গোলজারকে দু’র্নীতি র মাধ্যমে অর্জিত টাকার মালিক সাজিয়েছেন। কথিত মাছ চাষ থেকে ১ কোটি ১০ লাখ টাকা আয়ের কথা বলা হলেও বাস্তবে মাছ চাষের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। তারপরও মাছ চাষ করা হয় মর্মে কর ক’র্মকর্তারা প্র’তিবেদন দেন।

এসব অ’ভিযোগে এসআই নওয়াব আলী, তার স্ত্রী গোলজার বেগম, কর অঞ্চল-১ চট্টগ্রামের অতিরি’ক্ত সহকারী কর কমি’শনার (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) বাহার উদ্দিন চৌধুরী ও কর পরিদর্শক দীপঙ্কর ঘোষকে আসামি করে আদালতে অ’ভিযোগপত্র দেয় দুদক।